সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে যদি আপনি পড়ে থাকেন তাহলে হয়ত আপনাকে শেষ সেমিস্টারে থিসিস সাবমিট করেত হতে পারে।ভাসিটি ভেদ থিসিস সাবমিট বা সিলেকশানের প্রক্রিয়া বিভিন্ন রকম হতে পারে।

মূলক থিসিস হচ্ছে একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ যা শিক্ষার্থী সেই ডিগ্রি পাওয়ার জন্য অথবা রিসার্চ করার জন্য অথবা জ্ঞান অর্জনের জন্য সম্পাদন করে থাকে। প্রকৌশল ও বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিকোণ থেকে, প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীর গবেষণা নথিভুক্ত করা অথবা অন্য কিছু ?

আমি যখন ছাত্র ছিলাম মানে যখন দ্বিতীয় বা তৃতীয় বর্ষে ছিলাম তখনো খুব একটা পরিষ্কার ধারনা ছিল না থিসিস সম্পর্কে।থিসিসের প্রক্রিয়া কি বা কোন টপিকের উপর থিসিস করলে ভাল হবে।

হ্যাঁ এখন আমি থিসিস সাবমিট করে, ডিফেন্স ফেস করে ভার্সিটির চাপ্টার ক্লোজ করে দিয়েছি।কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমি থিসিসের ব্যাপারে অনেক অভিজ্ঞ।

তবে আমি যখন থিসিস করি তখন মনে হয়েছি আরও কিছু যদি রিসোর্স পাওয়া যেত তাহলে হয়ত ভাল হত।এ ব্যাপারে আমাদের সোপারভাইর্সর স্যার যথেষ্ট সাহায্য করেছিলেন। আপনারা যখন থিসিস করবেন তখন স্যাররা নিশ্চয় হেল্প করবে। কারণ আপনার সোপারভাইর্সর স্যারের সাহায্য ছাড়া আপনার পক্ষে থিসিস কম্পিলিট করা প্রায় অসম্ভব।ত আমার থিসিসের স্যার ছিলেন প্রফেসর ডা. আলী আহমেদ।স্যার যথেষ্ট হেল্প-ফোল ছিলেন,তার বাহিরেও স্যার আমাদের পরামর্শ দেন লাইব্রেরিতে খোজ নিতে।সেখানে প্রায় একই টপিকের হয়ত আরও থিসিস আছে। সেগুলো থেকে ধারনা নিতে পারা যাবে।

আমাদের স্টামফোর্ডের লাইব্রেরিটা বিশাল, পর্যাপ্ত বইয়ের কালেকশানও আছে।কিন্তু তখন যেই সমস্যাটা হত সেটা হচ্ছে অনেক থিসিসের কপি আমরা লাইব্রেরিতে পেয়েছি।কিন্তু যে বা যারা থিসিস করেছিলেন তাদের সাথে কখনো যোগাযোগ করেত পারিনি।তাই ছোট ছোট প্রশ্নগুলো অথবা তারা স্ট্রাকচারের যেই মডেলটি তৈরি করেছিলেন সেটি আমরা কখনই হাতে পাইনি।

মোটামোটি অনেক কষ্ট করেই থিসিস করেছিলাম।আসলে সবাই কষ্ট করেই করে।কারণ থিসিসের কেডিট যে একটু বেশি।কিন্তু এত কষ্ট বা মনোযোগ দিয়ে তৈরি করা থিসিসটি এখন আর কাজে লাগছে না।

এবং তখন আমার মনে হয়েছে অন্যান্য ভার্সিটির থিসিসগুলো কেমন হয়, অথবা তাদের experience কেমন, সেটা জানতে পারলে ভাল হত।কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সেটি জানার সুযোগ হয়নি কখনো।

আর এই জন্যই আমার অপ্রয়োজনীয় থিসিসের কপিটি অথবা আমার অভিজ্ঞতা যদি কারো কাজে লাগে, সে জন্যই এই পোষ্টি করা।

২০১৭ সালে আমি থিসিস সাবমিট করি।এখন হায়তবা এই প্রক্রিয়ার পরিবর্তন অথবা পরিমার্জন হয়েছে অনেক। ত আমার সাথে সামনে আগাতে হলে আপনাকে ২০১৭ সালে ফিরে যেতে হবে। ?

থিসিস ডিস্ট্রিবিউশন: থিসিস প্রক্রিয়ার শুরু এখানে থেকেই।নির্দিষ্ট একটি দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে ব্যাচের সকলকে অডিটোরিয়াম রুমে আসার জন্য নোটিসে জানানো হয়।এই দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সেদিন আপনি কোন বিষয়ের উপর থিসিস করবেন সেটি নির্ধারিত হবে।থিসিসের সাবজেক্টগুলো হতে পারে: structure, Transportation, Environment, Geotechnical, water resource ইত্যাদি

আপনি যদি নির্ধারিত সময়ে না আসেন তাহলে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত থিসিস সাবজেক্টটি নাও পেতে পারে।

ধরেন আপনি নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত।এখন CGPA অনুযায়ী আপনাদের ব্যাচের যারা আছে সবার লিস্ট করা থাকবে।তাহরে নিশ্চই বুঝতে পারছেন ডিস্ট্রিবিউশন প্রক্রিয়াটা কি হতে পারে।যার CGPA বেশি সে প্রথমে থিসিস সাবজেক্ট পচ্ছন্দ করার সুযোগ পাবে।

ধরেন আপনার ভার্সিটিতে স্ট্রাকচারে থিসিস করানোর জন্য স্যার আছেন ৪ জন।এক জন স্যার ৪জন ছাত্রের দায়িত্ব নিতে পারবেন, তাহলে আপনার ব্যাচের ১৬ জন স্ট্রাকচারে থিসিস করা সুযোগ পাবে।ধরেন প্রথম ১৬ জন তাদের থিসিস সাবজেক্ট হিসেবে স্ট্রাকচার সিলেক্ট করল, এবং আপনি CGPA তালিকার ১৭ তম।কিন্তু আপনার ইচ্ছা স্ট্রাকচারে থিসিস করবেন।তাহলে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আপনি স্ট্রকচারে থিসিস করা সুযোগ পাবেন না।

আপনার থিসিস সাবজেক্ট সিলেক্ট হয়ে যাওয়ার পর আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে আপনার সোপারভাইসর স্যারের সাথে, যেই স্যারের আন্ডারের আপনি থিসিস করার জন্য সিলেক্ট হয়েছেন।

তারপর আসছে থিসিস টপিল।মানে আপনার সিলেক্ট হওয়া সাবজেক্টের কোন টপিক নিয়ে আপনি রিসার্চ করবেন।

প্রথম দিন স্যারের সাথে সাক্ষাত।আমাদের টপিক সিলেক্ট করার পালা।স্যার অনেক টাইপের টপিকের কথা বললেন কোন টপিক নিলে আমাদের কি কাজ করতে হবে, কোনটার সুযোগ সুবিধা কি, আমরা কি চাই সব কিছু নিয়েই আলোচনা হল।যেহেতু আমার ঘন্টার পর ঘন্টা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে সমস্যা হয় না। 😀 Structural Analysis and Design Sessional মানে যেই কোর্সটাতে ETABS শিক্ষানো হয় সেই কোর্স A+ পেয়েছি, সেই হিসেবে থিসিস টপিক হিসেবে ANALYSIS AND DESIGN রিলেটেড কিছুই সিলেক্ট করা যায়।

আমাদের থিসিসের টপিক ছিল ANALYSIS AND DESIGN OF A HIGH RISE BUILDING OF BGB HEAD QUARTER, DHAKA

পরবর্তী পোষ্টে আমরা থিসিসে কি, কেন কিভাবে করলাম সে বিষয়ে আলোচনা করব। আগ্রহী হয়ে আগামী পোষ্টে দেখা হবে।

পর্ব-২: ANALYSIS AND DESIGN OF A HIGH RISE BUILDING OF BGB TEACHERS QUARTER, DHAKA

লেখক: হাবিব ভুইয়া

2 Comments

  • ভাই আপনার থিসিস কপিটা কি পাওয়া যাবে?

    • পরবর্তি পোষ্টে পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।