বিল্ডিং বা স্থাপনার ভিত্তি ( প্রি-কাস্ট পাইল)

বিল্ডিং বা স্থাপনার ভিত্তি ( প্রি-কাস্ট পাইল)

বিল্ডিং বা স্থাপনার ভিত্তি বা ফাউন্ডেশনের জন্য আমরা সাধারণত পাইলিং করে থাকে।‘পাইলিং’ হচ্ছে স্থাপনার জন্য ফাউন্ডেশন যা মাটিতে লোড স্থানান্তর করে করে থাকে, এতে স্থাপনা মজবুত ভাবে দাড়িয়ে থাকতে পারে।

পাইল কয়েক ধরনের হয়ে থাকে, যেমন: কাস্ট-ইন-সিটু পাইল, প্রি-কাস্ট পাইল, স্যান্ড পাইল, টিম্বার পাইল ,শোর পাইল
এই পোষ্টে আমরা প্রি-কাস্ট পাইল সম্পর্কে জানব। আমরা একটি প্রজেক্ট ভিজিটে গিয়েছিলাম, সেখানে প্র-কাস্ট পাইলের কাজ চলছিল। ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।

প্রি-কাস্ট পাইল নির্মাণ প্রক্রিয়া:
১. ড্রয়িং অনুযায়ী রিবার বাইন্ডিং:প্রথমে, স্ট্রাকচারাল ডিজাইনার কতৃক ড্রয়িং অনুযায়ী পাইলের জন্য রিবার বাইন্ডিং করা হয়।
নির্দিষ্ট ব্যাসের রিবার ব্যবহার করা হয় এবং সঠিকভাবে বাঁধা হয়, যাকে রিবার বাইন্ডিং বলে।
২. কনক্রিট মিশ্রণ:ইট, বালি এবং পাথরের মিশ্রণে কনক্রিট তৈরি করা হয়। তবে আমরা রেডি মিক্স ব্যবহার করতে পারি।ডিজাইন অনুযায়ী আমাদের কনক্রিটের গ্রেড নিশ্চিত করতে হবে। যদি আমরা নিজেরা কনক্রিট তৈরি করতে চাই তাহলে, কনক্রিট মিশ্রণের জন্য নির্দিষ্ট অনুপাত বজায় রাখা হয়।
সাধারণত, বালি, সিমেন্ট এবং পাথরের অনুপাত 1:2:4 হয়। প্রয়োজনে, পানি-সিমেন্ট অনুপাত এবং কনক্রিটের কাজের কর্মক্ষমতা উন্নত করার জন্য অ্যাডমিক্সচার ব্যবহার করা হয়।
৩. কাস্টিং:নির্দিষ্ট সাইজ অনুযায়ী ফর্ম-ওয়ার্ক তেরি করতে হবে, তাতে রিবারের খাঁচা নির্দিষ্ট কভারিং রেখে বসাতে হবে।
রিবারের খাঁচায় কনক্রিট মিশ্রণ ঢেলে দেওয়া হয়।ভাইব্রেটর ব্যবহার করতে হবে সঠিক ভাবে যেন কনক্রিট ছড়িয়ে পরে।কোন ভেট বা ফাঁপা যেন না থাকে। পাইলের পৃষ্ঠে বাতাসের বুদবুদ থাকলে তা অপসারণ করা হয়।
৪. কিউ-রিং:কনক্রিটের পূর্ণ শক্তি অর্জনের জন্য পাইলকে পর্যাপ্ত সময়ের জন্য কিউ-রিং করা হয়। সাধারণত, 28 দিনের জন্য পাইলকে পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়।
৫. পাইল ড্রাইভিং: কিউ-রিং সম্পন্ন হলে,পাইল তৈরি করা শেষ হল। এবার সঠিক ভাবে ড্রাইভ করতে হবে। বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে পাইল ড্রাইভ করা যায় যেমন হাইড্রোলিক হ্যামার, ডিজেল হ্যামার, ভাইব্রেশন পদ্ধতি ইত্যাদি। পাইলের ড্রাইভিং সময়, লোডিং পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং নির্দিষ্ট স্তরে পাইল পৌঁছালে ড্রাইভিং বন্ধ করা হয়।

প্রি-কাস্ট পাইলের সুবিধা:

ü  যেহেতু পাইল আগে তেরি করা হয় এবং পরে মাটির নিচে প্রবেশ করানো হয়।তাই গুণগত মান নিশ্চিত করা সহজ হয়।

ü দ্রুত এবং সহজে পাইল তৈরি করা যায়

ü নির্মাণ খরচ তোলনামুলক ভাবে কম

ü পাইল তৈরি করতে কম শব্দ দূষণ হয়।

ü ভারবহণ ক্ষমতা বেশি।

ü স্থায়িত্ব বেশি

প্রি-কাস্ট পাইলের সীমাবদ্ধতা:

ü মাটির ধরন এবং ভূগর্ভস্থ অবস্থার উপর নির্ভরশীল

ü দীর্ঘ পাইলের জন্য বিশেষ সরঞ্জাম প্রয়োজন

ü পাইলের সঠিক স্থাপন গুরুত্ব পূর্ণ

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।