অনেক সময় হয়ত ইমার্জেন্সি তে এস্টিমেট করা লাগতে পারে, হয়ত সাইটে লেবার রা আপনার কাছে হুট করে জিগাস করল “স্যার আর কয় লোড মসলা বানাবো”।
এই অবস্থাতেই আপনাকে একটা গ্রহনযোগ্য হিসাব দিতে হবে ????
সেটার জন্যে আবার একদম খাতা কলম নিয়ে ঘন্টা ধরে হিসাব করতে গেলে সমস্যা ,দেখা যাবে আপনি হিসাব করতে করতে কাজ ই শেষ । তাই সল্প সময়ে ,শর্ট-কাটে ও নির্ভুল ভাবে হিসাব করতে হবে।

যে জিনিস গুলো খেয়াল রাখতে হবে….

>কিসের ঢালাই হচ্ছে (ধরলাম স্ল্যাব)
> স্লাবটির পুরুত্ব কত ইঞ্চি।
> সিমেন্ট বালি ও খোয়ার অনুপাত কত ।
> পাথরের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে নাকি ইটের
>কতটুকু জায়গা ঢালাই এর বাকী আছে

কিভাবে করবেন

ডাটা

ধরলাম
> একটা ফ্লোর স্লাব ঢালাই হচ্ছে আপনার সাইটে।
>স্লাবটির পুরুত্ব ৮ ইঞ্চি।
>অনুপাত (১:২:৪)। পাথরের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে
> ১০০% সিলেট বালি
> সারাদিন যথারীতি ঢালাই চলছে। বিকাল বেলা
>স্লাবটিতে আর ১০ ফুট বাই ৬ ফুট জায়গা ঢালাই দেয়া বাকি আছে।
>তখন জানতে চাইলো স্যার আর কয় লোড মসলা বানাবো?

সমাধান

অনুপাত 1:2:4 ।
তাই প্রতি ব্যাচ মিশ্রণে শুষ্ক মসলার আয়তন হবে
= (1+2+4)×1.25 = 8.75 Cft.
আর শুষ্ক মিশ্রণে পানি মিশালে তার আয়তন 1.5 গুণ কমে যাবে। সেটা তখন হবে ভেজা আয়তন = 8.75÷1.5 = 5.833 Cft.

মানে হলো যে, 1:2:4 অনুপাতে এক বস্তা সিমেন্টের সাথে বালি ও খোয়ার মিশ্রণে 5.833 Cft. কংক্রিট পাওয়া যায়।

এখন অবশিষ্ট ঢালাই দিতে হবে এরুপ স্লাবের আয়তন বাকি আছে
= 1×10′-0″×6′-0″×0′-8″ = 40.20 Cft
= 40.00 Cft (প্রায়)।

তাহলে এখনো কংক্রিট মিক্সার করতে হবে
= 40.00÷5.833 = 6.85 ব্যাচ।
= 7.00 লোড বা ব্যাচ।

তবে স্লাবে যেহেতু রড কিছু আয়তন দখল করে নিয়েছে। তাই এই ক্ষেত্রে আপনি 6.50 লোড কংক্রিট তৈরি করতে বলতে পারেন।
সূত্র: ইঞ্জিনিয়া মোশারফ

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।